Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর ১৪২৩ (নিয়মিত বিভাগ)

মো. জহিরুল ইসলাম
গ্রাম- তৈলটুপি, উপজেলা- হরিনাকুণ্ডু

জেলা- ঝিনাইদহ
প্রশ্ন : পেয়ারা গাছের পাতা ও ডালে সাদা সাদা তুলার মতো দেখা যায়। ফলে পাতা ঝরে যায় ও ডাল মরে যাচ্ছে। কী করলে উপকার পাওয়া যাবে?
উত্তর : পেয়ারা গাছে ছাতরা পোকা
(Mealy bug) আক্রমণ হলে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। এরা পাতা ও ডালের রস চুষে নেয় ফলে গাছ দুর্বল হয়। প্রতিকার হিসেবে প্রথমে আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ফেলতে হবে। গাছের গোড়ার মাটি থেকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার উপরে স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা মুড়ে দিতে হবে যাতে মিলিবাগ গাছে উঠতে না পারে।
জৈব বালাইনাশক বাইকাও ২ মিলি/লিটার পানি ব্যবহার করা অথবা নিমবিসিডিন (০.৪%) ব্যবহার করতে হবে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি. রগর, টাফগর বা ২ গ্রাম মিগসিন বা সপসিন মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে।


মো. নূর আলম
গ্রাম-সাহাডুগী, থানা-বীরগঞ্জ
জেলা- দিনাজপুর

প্রশ্ন : লিচু গাছের পাতা ভেতরের দিকে কুঁকড়িয়ে যাচ্ছে এবং পাতার নিচের দিকে লাল মখমলের মতো হয়ে যাচ্ছে, কী করব?
উত্তর : এটি লিচুর মাইটের আক্রমণের লক্ষণ। আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। মধ্য ভাদ্র থেকে কার্তিক মাস এবং মাঘের শেষ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত প্রতি লিটার পানিতে ওমাইট ২ মিলিলিটার বা থিওভিট ২ গ্রাম বা ভার্টিমাক ১.২৫ মিলি পরিমাণ মিশিয়ে পাতায় ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার করে স্প্রে করতে হবে।

 

মো. ইয়াজ উদ্দিন
গ্রাম-টীলাগাঁও, থানা-কুলাউড়া
জেলা-মৌলভীবাজার

প্রশ্ন : ড্রাগন ফল গাছের কাণ্ডে কালো কালো দাগ হচ্ছে এবং কাণ্ডে পচে যাচ্ছে, কী করব?
উত্তর : এটি ড্রাগনের কা- পচা রোগের লক্ষণ। কাণ্ডের পচা অংশ সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। আক্রান্ত গাছে প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ বা ১ গ্রাম নইন মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

 

সনৎ মণ্ডল
গ্রাম- হাগিমপুর, থানা- লালপুর
জেলা- নাটোর

প্রশ্ন : ধানের পাতা সাদা হয়ে ভাঁজ হয়ে যাচ্ছে। কী করণীয়?
উত্তর : সাধারণত ধানে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণে এ লক্ষণ দেখা যায়। এ পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে এবং পাতা মুড়িয়ে বসে থাকে। এর জন্য-
-ক্ষেতে ডাল পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে।
-সন্ধ্যার পর আলোক ফাঁদের ব্যবস্থা করতে হবে।
-শতকরা ২৫ ভাগ পাতা আক্রান্ত হলে কীটনাশক সেভিন ৮৫ ডচ ব্যবহার করতে হবে।

 

সবুজ
গ্রাম- পদ্মপাড়া, থানা- গাবতলী
জেলা- বগুড়া

প্রশ্ন : শিম গাছের পাতায় সরু কালো দাগ পড়ছে। কাণ্ডে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে পচে যাচ্ছে। কী করণীয়?
উত্তর : এটি শিমের একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এর জন্য
-আক্রান্ত অংশ ছাঁটাই করে তা পুড়ে ফেলতে হবে।
-ছত্রাকনাশক টপসিন (২ গ্রাম/লিটার), টিল্ট-২৫০ ইসি (০.৫ মিলি/লিটার) অথবা ডাইথেন-এম-৪৫ (২ গ্রাম/লিটার) মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
-পরবর্তীতে রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
-বীজ বপনের আগে ব্যাভিস্টিন বা প্রোভেক্স দ্বারা বীজ শোধন করতে হবে।

 

সাখাওয়াত হোসাইন
গ্রাম- বাকেরগঞ্জ, উপজেলা- বাকেরগঞ্জ
জেলা- বরিশাল

প্রশ্ন : রুইজাতীয় মাছ এবং মলা পুঁটির মিশ্র চাষের পুকুর প্রস্তুতি, পোনা মজুদ, খাদ্য ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি কী?
উত্তর : পুকুর প্রস্তুতি : বন্যামুক্ত জলাশয়ে পাড় মেরামত ও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। রাক্ষুসে ও ক্ষতিকর প্রাণী সরিয়ে ফেলতে হবে। ১ কেজি চুন-শতাংশ হিসাবে দিতে হবে। চুন প্রয়োগের ৭-৮ দিন পরে শতাংশে প্রতি ৫-৭ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি দিতে হবে। পোনা মজুদ : শতাংশপ্রতি ১০-১৫ সেমি. আকারের ৩০-৩২টি রুইজাতীয় পোনা, ৫-৬ সেমি. আকারের ৬০টি মলা ও ৬০টি পুঁটি মাছ ছাড়তে হবে। পোনা মজুদের পর থেকে পোনার দেহের ওজনের ৫-১০ শতাংশ হারে সম্পূরক খাদ্য দিতে হবে। গ্রাস কার্পের জন্য কলাপাতা, বাঁধাকপির পাতা, নেপিয়ার দিতে হবে। প্রাকৃতিক খাবার জন্মানোর জন্য পোনা ছাড়ার ১০ দিন পর শতাংশপ্রতি ৪-৬ কেজি গোবর ও ১০০ গ্রাম ইউরিয়া দিতে হবে।

 

সুজন খান
গ্রাম- বালিপাড়া, উপজেলা- ত্রিশাল
জেলা- ময়মনসিংহ

প্রশ্ন : পোনা পরিবহন করার জন্য ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া দরকার?
উত্তর : বড় পাতিলে, ড্রামে এবং পলিথিন ব্যাগে পোনা পরিবহন করা যায়। পরিবহন দূরত্ব, প্রজাতি, শারীরিক অবস্থা ও তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থাপনা নিতে হবে। তবে পরিবহনের পূর্বে পোনাকে অভুক্ত রাখতে হবে। পাতিলের পানিতে খাবার লবণ ১ মুষ্টি মিশিয়ে পোনা পরিবহন করলে ভালো হয়। পোনা আনার পর ২-৩ ঘণ্টা হাপায় রেখে তারপর পুকুরে ছাড়তে হবে।


রামকৃষ্ণ
গ্রাম- দক্ষিণ বেড়েঙ্গা, উপজেলা- জলডাঙ্গা
জেলা- নীলফামারী

প্রশ্ন : গরুর রক্ত আমাশয়ে (কক্সিভিওসিস) কী করণীয়?
উত্তর : কট্রিম ভেট বোলাম প্রতি ৮০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ২টি বোলাম সেবন করতে হবে। প্রতিদিন নির্ধারিত মাত্রা ২ ভাগ করে সকালে ও বিকালে ১২ ঘণ্টা পর পর সেবন করতে হয়। রোগের লক্ষণ দূর হওয়ার পর আরও দুই দিন বোলাম খাওয়াতে হবে।
স্টমাপ্লেক্স ভেট ১০০-৩০০ কেজি ওজনের জন্য ১-২ স্যাচেট (২০-৪০ গ্রাম);
১৫-২৫ কেজি ওজনের জন্য ১/৪-১/২ স্যাচেট (১০-২০ গ্রাম);
২৫ কেজি বা এর চেয়ে বেশি দৈহিক ওজনের জন্য ১/২-১ স্যাচেট (১০-২০ গ্রাম)।
উপরের মাত্রা অনুযায়ী স্টমাপ্লেক্স ভেট পাউডার ১ থেকে ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে ২ বার করে পর পর ২-৩ দিন খাওয়াতে হবে।

 

রাসেল
গ্রাম-ঝটিকা, উপজেলা-আলফাডাঙ্গা
জেলা- ফরিদপুর

প্রশ্ন : কবুতরের খাদ্য সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর : কবুতর প্রধানত গম, ভুট্টা, ধান, চাল, কাউন, জোয়ার, কালাই, খেসারি, সরিষা ইত্যাদি শস্যদানা খেয়ে থাকে। ঘরের সামনে পাত্রে খাদ্য রেখে দিলে খেয়ে নেয়। স্বাস্থ্য রক্ষা, দৈহিক বৃদ্ধি এবং উৎপাদনের জন্য এদের সুষম খাদ্য দেয়া প্রয়োজন। মুরগির জন্য তৈরি সুষম খাদ্য কবুতরকেও দেয়া যেতে পারে। কবুতরের খাদ্যে শতকরা ১৫ থেকে ১৬ ভাগ আমিষ থাকা প্রয়োজন। প্রতিটি কবুতর দৈনিক ৩৫ থেকে ৫০ গ্রাম দানাদার খাদ্য খেয়ে থাকে। কবুতরের বাচ্চার দ্রুত বৃদ্ধি এবং বয়স্ক কবুতরের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝিনুক চূর্ণ, চুনাপাথর, কাঠ কয়লা চূর্ণ, হাড়ের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে গ্রিট মিকচার খনিজ মিশ্রণ তৈরি করে খেতে দিতে হয়। এছাড়া প্রতিদিন কিছু কাঁচা শাকসবজি কবুতরকে খেতে দেয়া প্রয়োজন।

 

কৃষিবিদ মোহাম্মদ মারুফ

*সহকারী তথ্য অফিসার (শস্য উৎপাদন), কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon